গোলমরিচের অজানা ১০টি উপকারিতা-রোজ গোলমরিচ খাওয়ার উপকারিতা
গোলমরিচের অজানা ১০টি উপকারিতা সমন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করব। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন গোলমরিচ বিশ্বের অন্যতম স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সুস্বাদু মশলা। এটি খাবারের রান্নায় আলাদা স্বাদ বাড়িয়ে তোলে।
গোলমরিচে বিভিন্ন ধরণের ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। প্রাচীনকালেও গোলমরিচের ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায় বিভিন্ন পর্যায়ে। আসুন গোলমরিচের বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
পোস্ট সূচীপত্রঃ গোলমরিচের অজানা ১০টি উপকারিতা-রোজ গোলমরিচ খাওয়ার উপকারিতা
গোল মরিচের অজানা ১০টি উপকারিতা
বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক ব্যবহৃত মসলাগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ মসলা হচ্ছে গোলমরিচ। এর ঝাঁঝালো মসলাদার ফ্লেভার খাবারে আনে বাড়তি স্বাদ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয় গোলমরিচ। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণগুলো আমাদের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। এর মধ্যে পাইপেরিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পাইপেরিন একটি প্রাকৃতিক ক্ষারীয় যার কারণে গোলমরিচের স্বাদ ঝাঁঝালো হয়। বিভিন্ন অসুস্থতায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গোলমরিচের অজানা ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
- গোলমরিচে থাকা পাইপেরিন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোনয়েডস, ক্যারোটিনস এবং অন্যান্য এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিক্যাল অপসারণ করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
- পাইপেরিন আমাদের হজম শক্তি সহজ করে তোলে। খাবারে কিছুটা গোলমরিচ মিশিয়ে নিন, খাবার দ্রুত হজম করতে সহায়তা করবে এবং শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখবে।
- গোলমরিচ প্রকৃতির এন্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করে এবং কাশি নিরাময় করতে সাহায্য করে। এছাড়া গোলমরিচ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই এটি ভালো এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
- গোলমরিচের বাইরের স্তরটিতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে যা ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে এবং শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখে।
- গোলমরিচ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এর সক্রিয় যোগ গুলোর শ্বেত রক্ত কণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। যা শরীরে আক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
- যাদের রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ বেশি আছে তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী একটি উপাদান। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- আপনার যদি হাতে, পায়ে অথবা শরীরের যেকোন স্থানে ফোলা জনিত ব্যথা থাকে তাহলে এই গোলমরিচ বেটে শরীরের ফোলা বা ব্যথা স্থানে এর প্রলেপ লাগালে ফোলা ভাল হয়ে যায়। গিরার ব্যথাতেও এটি ব্যবহার করলে গিরার ব্যথা তৎক্ষণাৎ কমে যায়।
- গোলমরিচে থাকা পাইপেরিন স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- গোলমরিচ শরীরের মেদ বা ভুঁড়ি কমাতে বিশেষ ভাবে ভূমিকা পালন করে। যারা মেদের সমস্যায় ভুগছেন অর্থাৎ যাদের ভুঁড়ি অথবা পেট অনেক বড় তারা যদি প্রতিদিন ২টা থেকে ৩টা গোলমরিচ খেতে পারেন তাহলে শরীরের চর্বি কেটে যাবে এবং এই ব্যবহারে পেটের যেকোন সমস্যা দুর হয়ে যাবে।
- গোলমরিচ ডায়রিয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। যদি কোন ব্যক্তি ঘন ঘন বা কিছুদিন পর পর ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হতে থাকেন তাহলে গোলমরিচ খান ডায়রিয়া ভাল হয়ে যাবে। এই গোলমরিচ খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া, কলেরার মত বিভিন্ন পেটের রোগ সংক্রান্ত সমস্যা গুলো দুর হয়ে যাবে।
গোলমরিচের পুষ্টি উপাদান সমূহ
গোলমরিচ আমরা সাধারণত খাবারে মসলা হিসেবে খেয়ে থাকি কিন্তু আমরা এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তেমন ভাবে অবগত নয়। গোল মরিচে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পাইপেরিন, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, থায়ামিন, ভিটামিন বি ৬, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম ও জিংক। গোলমরিচ মসলা হলেও এটি আমাদের বিভিন্ন রোগ সারাতে ঔষুধের ন্যায় কাজ করে। যেমন- জ্বর, সর্দি ও পেট ফাঁপায় গোলমরিচ বেশ কার্যকর।
এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তস্বল্পতা, দাঁতের রোগ, ডায়রিয়া ও হৃদরোগেও গোলমরিচ খুবই উপকারী। নিয়মিত গোলমরিচ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে গোলমরিচ। ত্বকের সমস্যাতেও গোলমরিচ গুঁড়ো করে, স্ক্রাবার হিসেবে লাগালে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়ে যায়।
বিজ্ঞান বলছে গোল মরিচা থাকা পিপারিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যার ফলে গোলমরিচ হৃদরোগের সমস্যা, ক্যান্সার, হাঁপানি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস সহ একাধিক রোগের জন্য ঔষধ হিসেবে বিবেচিত। এতে থাকা পিপাড়িন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবে গোলমরিচের ভূমিকা রয়েছে অনেক।
গোলমরিচ খাওয়ার ও ব্যবহারের নিয়ম
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ৫টি উপায়ে গোলমরিচ খান, ফলে ডায়বেটিস-কোলেস্টেরল এর মত ২২টি রোগ নির্মূল করতে সাহায্য করবে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডক্টর দীক্ষা ভাবসার তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে গোলমরিচ কিভাবে বা কেমন করে সেবন করবেন সেই বিষয়ে জানিয়েছেন। গোলমরিচ খাওয়ার ও ব্যবহারের নিয়ম গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
সকালে খালি পেটে গোলমরিচ চিবিয়ে খান
ভাল উপকার পেতে হলে আপনাকে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১টি করে গোলমরিচ চিবিয়ে খেতে হবে। এর ফলে হরমোনের ভারসাম্য, ডায়াবেটিস, অ্যামেনোরিয়া, পিরিয়ড বিলম্বের মতো রোগে আপনি উপকৃত হবেন।
মধু দিয়ে গোলমরিচ খান
এটি আপনি মধু, হলুদ এবং ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গোলমরিচ ও মধু খুবই উপকারী উপাদান। এর ফলে আপনার রোগ প্রতিরোধ শক্তিশালী করতে এবং শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
নিমপাতার সাথে মিশিয়ে খান
আপনারা হয়তো খেয়াল করে থাকবেন অনেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়মিত নিম পাতার রস খেয়ে থাকেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিমপাতার রস ফেন্টাসটিক সাপ্লিমেন্ট হতে পারে কিন্তু তার সাথে যদি কয়েক দানা গোলমরিচ ব্যবহার করতে পারেন তাহলে তখন ওই নিমপাতার যে সমস্ত মেডিসিন্যাল কম্পাউন্ড গুলি আপনার রক্ত থেকে সুগারের মাত্রাকে কম করতে সাহায্য করে।
দৈনন্দিন খাবারের সাথে খেতে পারেন
দৈনন্দিন খাবার তালিকায় গোলমরিচ রাখা যায়। প্রতিদিন ১টি করে গোলমরিচ খাওয়া উচিত। এটি আপনি জল দিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া গোলমরিচ বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। যেমন ধরেন রান্নার সাথে মসলা করে খাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের ফলের সাথে গোলমরিচ গুঁড়ো করে স্বাদ হিসেবেও খাওয়া যায়। এতে অনেক উপকার পাবেন।
দুধ বা ঘি দিয়ে গোলমরিচ খান
ভাল ঘুমের জন্য শোবার আগে দুধের সাথে এক চিমটি শুকনো আধা গুড়ো গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার ভাল ঘুমের সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং জয়েন্টের ব্যথা (আর্থ্রাইটিস) থেকে মুক্তি পাবেন। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ১ চা চামচ দেশী গরুর ঘি দিয়ে ঘুমানোর সময় খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
খালি পেটে গোলমরিচ খেলে কি হয়?
সকালে খালি পেটে গোলমরিচ খেলে অনেক উপকারিতা লক্ষ্য করতে পারবেন। প্রথমে যে উপকারটি পাবেন তা হলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এর সাথে পেটের যেকোন সমস্যাও দূর হবে। যেমন ডায়রিয়া, কলেরা, আমশয়া ইত্যাদি ধরনের পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গোলমরিচ খেতে পারেন তাহলে এসব পেটের রোগের সাথে সাথে আরো বড় ধরনের রোগ হতে মুক্তি পেতে পারেন।
তাহলে বুঝতেই পারছেন খালি পেটে গোলমরিচ খাওয়ার কত উপকারিতা। কারণ এটি মসলার সাথে সাথে ভেষজ আয়ুর্বেদিক গুণসম্পন্ন একটি উপাদান। যা আমরা সহজেই সব সময় হাতের নাগালেই পেয়ে থাকি। গোলমরিচ ভেষজ গুণ সম্পন্ন একটি মসলা। যেহেতু ভেষজ সেহেতু অবশ্যই এর উপকারিতা রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই এর ব্যবহার হয়ে আসছে এবং এটি খুবই কার্যকরী ও উপকারী উপাদান।
গোলমরিচের অপকারিতা
অতিরিক্ত গোলমরিচ খেলে গ্যাসের সমস্যা কিংবা পেটের সমস্যা হতে পারে। অন্ত্রের ভিতরে অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে। একটি কথা স্মরণে রাখা উচিত যে, গর্ভবতী অবস্থায় গোলমরিচ খাওয়া যাবে না কারণ তাতে গর্ভপাতের আশঙ্কা বাড়ে। যদি খেতে হয় তাহলে স্বল্প পরিমাণে খাওয়া যায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। তবে ডাক্তাররা গর্ভবতী মহিলাদের গোলমরিচ খেতে নিষেধ করে থাকেন।
তাই জেনে বুঝে গোলমরিচ খেতে পারেন এবং গর্ভাবস্থায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন। শিশুদের ক্ষেত্রেও গোলমরিচ খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। এক বছর বয়সী শিশুদের গোলমরিচ খাওয়া উচিত না। বেশি বয়সী বা বড় শিশু হলে সে ক্ষেত্রে একটি বেশি গোলমরিচ না খাওয়া উত্তম। কারণ শিশুদের গোলমরিচ খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে গোলমরিচ
মানব শরীরে বাড়তি ওজন কতটা ঝরবে সেটা নির্ভর করে আমাদের বিপাকীয় হারের উপর ভিত্তি করে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী গোলমরিচে থাকা পিপারিন উপাদানটি শরীরের অতিরক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। গবেষণাটি করা ইঁদুরের উপরে। কিছু সংখ্যক ইঁদুরকে দুটি দলে বিভক্তে ভাগ করা হয়।
একদল ইঁদুরকে স্বাভাবিক খাবার এবং অন্য দলকে উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়ানো হয়। ফলে উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবারের কারণে ওজন বৃদ্ধি হতে থাকে। এর পর ওই ইঁদুর গুলোকে পিপারিন খাওয়ানো হয়। কিছুদিন পর দেখা যায় তাদের ওজন হ্রাস পেয়েছে। আসলে পিপারিন শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঘটাতে সাহায্য করে। গোলমরিচ এ পিপারিন বিদ্যমান এটা পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত।
লক্ষ্য করে দেখবেন গোলমরিচ খেলে হালকা ঝাল লাগে। কারণ এর নামের সাথে মরিচ যুক্ত আছে এর কারণেই এবং এটি খাওয়ার পর আর অন্য কিছু খাওয়ার আগ্রহ থাকে না। ফলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। নিয়মিত প্রতিদিন গোলমরিচ খেলে বাড়তি ওজন কমানোর সাথে সাথে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ায় সম্ভব। গোলমরিচ একটি সহজলভ্য মসলা।
সাবধানতা
গোলমরিচ যেহেতু আয়ুর্বেদিক ভেষজ উপাদান সেহেতু অবশ্যই সাবধানতা বজায় রেখে ব্যবহার করা উচিত। খাওয়ার আগে আমাদের এর সাবধানতা বিষয়ে জেনে রাখা ভাল। গোলমরিচ খাওয়ার পর আধা কাপ পানি পান করতে হবে। অন্ত্রের ভিতরে গোলমরিচের অস্বস্তিকর অনুভূতি দূর করতে চর্বিহীন দই খেতে পারেন। আর গোলমরিচ খাওয়ার পর অস্বস্তি লাগলে তৎক্ষণাৎ খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনভাবেই কোন রোগের ঔষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সব সময় কোন কিছু ব্যবহারের আগে তার সমন্ধে সাবধানতা অবলম্বন করে ব্যবহার করা উচিত। এটি একটি সচেতন নাগরিকের বৈশিষ্ট্য।
পরিশেষে
আমরা আজকে এই আর্টিক্যাল এর মধ্যে গোলমরিচের ১০টি উপকারিতা এবং এর গুণাগুণ ও বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিক্যালটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয় গোলমরিচ সমন্ধে আপনার জানা হয়ে গেছে যে গোলমরিচ কি, এর উপকারিতা, অপকারিতা, পুষ্টিগুণ, খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে। এছাড়া এটি বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ সারাতে সাহায্য করে।
গোলমরিচ মসলা জাতীয় খাদ্য এবং ভেষজ গুণ সম্পন্ন একটি উপাদান। এটি বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে খাওয়া যায় এবং খাবারের স্বাদ অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। গোলমরিচের যে কত গুণ তা আমরা আর্টিক্যালটি পড়েই জানতে পেরেছি। তাই আমরা গোলমরিচ কে আমাদের খাদ্য তালিকায় রেখে দিতে পারি। যদি এই নিবন্ধটি পড়ে আপনি উপকৃত হন তাহলে শেয়ার করে অন্য জনদের জানার সুযোগ করে দিন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url