আখের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা
তীব্র গরমে এক গ্লাস আখের রস মুহূর্তেই শরীরের সকল ক্লান্তি দূর করে দিতে সক্ষম। চলুন জেনে নিই এই আখের রসে কি কি উপকারিতা এবং অপকারিতা আছে।
আপনি যদি নিয়মিত আখের রস পান করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার আখের রসের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্বন্ধে জেনে রাখা উচিত। আখের রসের সম্বন্ধে আমরা বিস্তারিত নিচে আলোচনা করলাম।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আখের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা
আখের রসের উপকারিতা
আখের রসে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আইরন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মত প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ। এগুলো হাড় মজবুত করে এবং দাঁতকে শক্তিশালী করে। আখের রসের এই পুষ্টিগুণ শরীরে রক্ত চলাচল ও ঠিক রাখে। সেই সঙ্গে এই জুস ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।
এটি শরীরের বিপজ্জনক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ওজন নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্ডকে সুস্থ রাখে। আখের রস খুবই সহজলভ্য এবং উপকারী একটি সুস্বাদু পানীয়। আখ আন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই সুস্বাদু পানীয় বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরে প্রচুর শক্তি যোগায়। শুধু তাই নয় আখের রসে রয়েছে প্রচুর ফাইবার এবং মাইক্রো-মিনারেলস।
এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা দেয়। এই রস মিষ্টি হলেও এতে চর্বির পরিমাণ খুবই কম। এই রস শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে এবং শরীর ভালো রাখে। জন্ডিস রক্তশূন্যতা এবং কম্বল জ্বালায় আখের রস খুবই উপকারী।
আখের রস খাওয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা
আসুন আখের রস খাওয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
ক্যান্সার প্রতিরোধ
ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে আখের রসের উপকারিতা দেখা গেছে। এই রসে টাইরোসিন নামক এক ফ্লেভোন পাওয়া যায় যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। আখের রসে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম এর স্বাদকে ক্ষার করে। এ রসে উপস্থিত এই উপাদান গুলো আমাদের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।
হজম শক্তির উন্নতি ঘটায়
আখের রসে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরের পরিপাকতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। হজম ঠিক রাখার পাশাপাশি পেটের ইনফেকশনও প্রতিরোধ করে। আখের রস কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ
আখের রস হার্ট অ্যাটাকের মত হৃদরোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। আখের রস শরীরে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায় । এর ফলে ধমনীতে চর্বি জমে না এবং হৃদপিণ্ড এবং শরীরের অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি ভালো প্রবাহ থাকে।
ওজন কমাতে সহায়ক
আখের রস্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এটি শরীরের বিপজ্জনক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ওজন নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্টকে সুস্থ রাখে।
ত্বক উজ্জ্বল করে
গরমের রোদ এবং ঘামের কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়। আখের রস ত্বককে উজ্জ্বল ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আখের রসে রয়েছে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড(AHAS) যা ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে । ব্রণ দূর করে, দাগ কমায়, ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং বলিরেখা কমায়। আখের রসে থাকা আলফা হাইড্রক্সি এসিড ত্বকের কুঁচকে যাওয়া রোধ করতে সাহায করে।
ত্বকের বার্ধক্য দূর করে
ত্বকে অতি বেগুনি রশ্মি এবং ফ্রী র্যাডিক্যালের প্রভাবের কারণে অকাল পার্থক্য ঘটতে পারে। এই লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে বলিরেখা এবং পিগমেন্টেশন ইত্যাদি। তাদের থেকে ত্রাণ পেতে কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয়। আখের রসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা ফ্রী র্যাডিক্যালের প্রভাব কমাতে সহায়ক। আখের রস খাওয়া ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সহায়ক হতে পারে।
যকৃতের স্বাস্থ্য বা জন্ডিস
আখের রস লিভার সংক্রান্ত জন্ডিসের জন্য খুবই উপকারী। আখের রসের উপকারিতা জন্ডিস থেকে তাৎক্ষণিক উপশম পেতে সাহায্য করে। যকৃতের কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি হলে জন্ডিস হয়। শরীরে বিলিরুবিন বেড়ে গেলে এ অবস্থা হয়। বিলিরুবিন হল একটি হলুদ রঙ্গক যা লিভারের লোহিত রক্তকণিকা ভেঙ্গে দিয়ে তৈরি হয়। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে প্রতিদিন এক গ্লাস আখের রস পান করা যেতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আখের রসের উপকারিতা পাওয়া যায়। আখের রস অনেক ধরনের সংক্রমণ রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সহায়ক। এটা নিশ্চিত করার জন্য, আখের রসের বৈশিষ্ট্য গুলো নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল। তখন এর হেপাটোপ্রোটেকটিভ এবং এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য গুলো প্রকাশিত হয়েছিল। এর ফলাফল প্রকাশ হয়েছে যে, আখের রসের নির্যাস বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। সেই সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
দেহের প্রতিটা অঙ্গের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
যখন আপনি নিয়মিত আখের রস খাওয়া শুরু করেন, তখন শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে, বড় বা ছোট কোন রোগী শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। ইন্দ্রিয় অঙ্গ, প্রজনন অঙ্গ এবং বিশেষ করে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে আয়ু বৃদ্ধি করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, আখের রসে থাকা পুষ্টিগুণ পরিপাকতন্ত্রের চলাচলের উন্নতি ঘটায়। এরফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। একই সাথে, আখের ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্যগুলো বুক জ্বালাপোড়া কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কিডনির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
আখের রসে একাধিক উপকারে উপাদান মূত্রনালীর সংক্রমণ সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি কিডনিতে পাথরের মতো সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
এনার্জির ঘাটতি দূর করে
দীর্ঘ সময় শরীরে শক্তি বজায় রাখতে এবং পেশিতে শক্তি বজায় রাখতে কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন। আখের রসে থাকা কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম এবং অন্যান্য উপকারী উপাদান শরীরের প্রবেশ করে শক্তির ঘাটতি দূর করে
আখের রসের অপকারিতা
এতে কোন সন্দেহ নেই যে আখের রস একটি সুস্বাদু শক্তিশালী পানীয়। তবে এটির অত্যধিক ব্যবহার নিম্নলিখিত সমস্যাগুলোর কারণ হতে পারে।
আখে রসে ঠান্ডা প্রভাব রয়েছে তাই শীতকালে এর ব্যবহার এড়িয়ে চলুন অন্যথায় ঠান্ডাজনিত সমস্যা হতে পারে। রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া আখের রস এড়িয়ে চলুন, কারণ এই রসে ক্ষতিকারক জীবাণু থাকতে পারে,যা পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ইস্ট ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের মতো জীবাণু দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা আখের রসে জন্মাতে পারে।
যা আখের রসের ক্ষতি করতে পারে। আখের গুনাগুন শুনে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গরমের সময় আখের রস কতটা উপকারী তাই সুযোগ পেলেই আখের রস খান। এছাড়াও লক্ষ্য রাখবেন এই রস পরিষ্কারভাবে বের করা হয়েছে কিনা। ময়লার সংস্পর্শে আসা আখের রস উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আখের রস খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে
ভাদ্র মাসের তীব্র গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা আখের রস যে কাউকেই মুহূর্তের মধ্যেই সতেজ করে তুলতে পারে এবং ক্লান্তি দূর করতে পারে। তবে কেউ যদি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে তাহলে তাকে দৈনন্দিন খাদ্যাভাসের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
কারণ আখের রসের মতো সাধারণ ডিহাইড্রেটিং পানীয় একজন ডাইবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আখের রসের প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উৎপাদন রয়েছে। এত পুষ্টিগুণ থাকা সত্ত্বেও একজন ডায়াবেটিস রোগীর অবাধে বা ইচ্ছামত পান করা উচিত নয়। কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি বা সুক্রোজ এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।
ডায়াবেটিস রোগীদের আখের রস পান করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করে খাওয়া উচিত। অনেক সময় আখের রস পান করার সময় হঠাৎ করে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তারপর আবার হঠাৎ করে শর্করা পরিমাণ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ইনসুলিন তৈরি হওয়ার সময় চর্বি, পেশী ও লিভারের কোষগুলো ভালোমতো সারা দেয় না এবং রক্ত থেকে সহজে গ্লুকোজ শোষণ করতে পারে না।
ফলে অগ্নাশয় কোষগুলোতে গ্লুকোজ প্রবেশ করতে সাহায্য করার জন্য আরও ইনসুলিন তৈরি করে। এই সময় চিনির কারণে অগ্নাশয় কোষগুলোকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয় এবং একটা সময় দীর্ঘ মেয়াদের জন্য শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতি তৈরি হয়। যেসব ডায়াবেটিস রোগীরা ইনসুলিন গ্রহণ করেন তাদের জন্যও শরীরে হঠাৎ এই বাড়তি চিনির প্রবেশ রক্তের শর্করার পরিমাণ স্থিতিশীল রাখতে বাধা সৃষ্টি করে।
অনেক পুষ্টিবিদ বলেন একজন ডায়াবেটিক রোগী ২ পাইক বা গিট পরিমাণ আখ সকাল ১১ টায় খেতে পারেন অথবা এই পরিমাণ আখ থেকে যতটুকু পরিমাণ রস হয় ততটুকু খেতে পারেন। তবে মেডিসিন বা ইনসুলিন নেওয়ার পর যদি সুগার বেশি থাকে তবে না খাওয়াই উত্তম।
আরও পড়ুনঃ ডিমের কুসুমের উপকারিতা ও অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় আখের রস খাওয়ার উপকারিতা
কোন নারীর পক্ষে গর্ভাবস্থা নিঃসন্দেহে আশ্চর্যজনক এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা গুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে অন্যতম। একটি নারীর জন্য সন্তানের মা হওয়া অনেক বড় প্রাপ্তি। এমনকি একটি নারী তার মধ্যে আরেকটি প্রাণের অস্তিত্ব বহন করার কথা কল্পনাতে আনাও অদ্ভুত ব্যাপার।
একজন নারীর গর্ভধারণ করার প্রায় সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় গর্ভস্থ শিশুকে সুস্থ রাখার অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা। হরমোনের পরিবর্তন এবং সন্তানের প্রতি মায়ের দায়িত্বের কারণে এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। আখ থেকে চিনি উৎপাদন হয় এবং গুড়ও আখের অন্যতম উপজাত যা চিনির বদলে ব্যবহৃত হয়।
হয়তো এই কারণেই প্রত্যেক মা জানতে চাই গর্ভাবস্থায় আখের রস খাওয়া নিরাপদ বা উচিত কিনা। তাই আখের রসের উচ্চ গ্লুকোজ থাকার কারণে সাধারণত সবাই চিন্তিত থাকে। এই কথা আমরা মাথা রেখে নিম্নে বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করা হলো যে গর্ভাবস্থায় আখের রস খাওয়া যেতে পারে কিনা।
সাধারণ মানুষের প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করছি-
আখের রসের পুষ্টিগুণ
আখের রসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমেই স্বাস্থ্য উপকারিতা জানা যাবে। প্রতি ১০০ মিলিলিটার আখের রসের পুষ্টিগুণ হিসেবে রয়েছে প্রোটিন ০ গ্রাম, ফ্যাট ০ গ্রাম, কোলেস্টেরল ০ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ২১.১৪ গ্রাম, শর্করা ৭.২৭ গ্রাম, সোডিয়াম ৪৪ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১২ মিলিগ্রাম।
আখের রসে ফ্যাট বা কোলেস্টেরল থাকে না তাই রক্তে অনিয়মিত লিপিড প্রোফাইল আছে এমন মহিলাদের জন্যও এটি নিরাপদ। এছাড়া কারো রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বা ইউরিয়ার পরিমাণ বেশি থাকলেও গর্ভাবস্থায় আখের রস খেলেও কোন সমস্যা হবে না। কারণ আখের রস প্রোটিন মুক্ত।
গর্ভাবস্থায় আখের রস কি নিরাপদ?
উচ্চ মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট, সোডিয়াম, পটাশিয়াম থাকার কারণে গর্ভাবস্থায় আখের রস খাওয়া নিরাপদ। তবে কোন গর্ভকালীন নারীর ডায়াবেটিস বেশি থাকলে ডায়েটিশিয়ান অথবা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ফলের রসে বিভিন্ন আকারের চিনির পরিমাণ বেশি থাকে।
আখের রস কি গর্ভপাত ঘটায়?
সাধারণত অনেক মহিলাদের মনে প্রশ্ন জাগে, আখের রস কি গর্ভপাত ঘটায়? উত্তর হচ্ছে না। গর্ভাবস্থায় আখের রস পানে অগণিত উপকারিতা থাকার কারণে বা কোন টক্সিন এর অনুপস্থিতিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাসে কোনরকম ভাবে গর্ভপাত ঘটায় না। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আখের রস কোন রকম অসুবিধা বা অস্বস্তি সৃষ্টি করে না, এমনকি প্রতিদিন পান করলেও না।
সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
বিভিন্ন এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে গর্ভাবস্থায় আখের রস পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ যেমন সর্দি ও কাশির বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতা বাড়ায়। বিশেষ গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় নারীদের আখের রস নিয়মিত খেলে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাল সংক্রমনের ঝুঁকি কমে।
পরিশেষে
আশা করি আপনি, এই নিবন্ধটি থেকে আখের রস পান করার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন এবং অবশ্যই এই সুস্বাদু রস আপনার জীবনে অন্তর্ভুক্ত করবেন।
আখের রসের উপকারিতা, অপকারিতা, পুষ্টিগুণ এবং আরো বিভিন্ন তথ্য আমরা আজকে জানতে পারলাম। আপনার যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্য জনকে শেয়ার করে অপরকে জানানোর সুযোগ করে দিন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url