সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচার উপায়- ঘর থেকে সাপ তাড়ানোর উপায়
সাপের উপদ্রব অন্যান্য সময়ের তুলনায় গরমে এবং বর্ষাকালে বেশি বাড়ে। সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে আমাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা অনেক পথ অবলম্বন করে থাকি। সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে কার্বলিক এসিড ব্যবহার করা যায়।
সাপ একটি শান্ত প্রাণী কিন্তু খুব বিষাক্ত প্রাণী। সাপের কামড়ে মানুষ ও পশুপাখিও মারা যায়। সাপ বিষাক্ত প্রাণী হওয়ার কারণে সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচার উপায় এবং ঘর থেকে সাপ তাড়ানোর কিছু কার্যকরী উপায় সম্বন্ধে আমরা আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পোস্ট সূচীপত্রঃ সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচার উপায়- ঘর থেকে সাপ তাড়ানোর উপায়
- সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচার উপায়
- বাড়ি থেকে সাপের উপদ্রব কমানোর উপায়
- সাপ তাড়াতে কার্বলিক এসিডের ব্যবহার
- সাপ তাড়াতে কার্বলিক এসিড কি আসলেই কার্যকর?
- কার্বলিক এসিড কোথায় পাওয়া যায়?
- সাপ সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য
- সাপে কামড়ালে করণীয় বা প্রাথমিক চিকিৎসা
- সাপে কাটার লক্ষণ গুলো কি কি
- রাসেল ভাইপার থেকে বাঁচার উপায়
- পরিশেষে
সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচার উপায়
প্রচণ্ড গরমে বা বৃষ্টির পানির কারণে সাপ তাদের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে। একটি সাপের শরীরের তাপমাত্রা পরিবেশের তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে। মাটি তাদের শরীরকে গরম কিংবা ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করে। প্রচণ্ড গরমে বা বৃষ্টির পানি তাদের গর্তে ঢুকে যাওয়ার কারণে তারা গর্ত থেকে বেরিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই সময় তারা বসত বাড়ি, পরিত্যক্ত বাড়ি ঘর, দেওয়ালের ফোঁকড়ফকা, গাছপালা ইত্যাদি স্থান দখল করে বসে থাকে।
সাপেরা সাধারণত এমন স্থানে লুকিয়ে থাকে যে তাদেরকে সহজে দেখা যায় না। বাড়ির কোণে বা ফাকফোঁকরে, ধ্বংসাবশেষের স্তূপের নিচে লুকিয়ে বসবাস করতে থাকে। হঠাৎ কখনো যদি সাপ আপনার সামনে চলে আসে বা বাড়িঘরে ঢুকে পড়ে তাহলে তৎক্ষণাৎ কি করবেন এবং কি করবেন না এই বিষয়ে আমাদের জেনে রাখা উচিত। সামান্য একটু ভুলের কারণে সাপ দংশন করতে পারে তাই এই বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। চলুন জেনে নিই সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে কি উপায় অবলম্বন করতে হবে।
- সাপের উপদ্রব বেড়ে গেলে আপনার বাড়ির চারপাশে কার্বলিক এসিড ছড়িয়ে রাখুন। এতে সাপ আপনার বাড়িতে প্রবেশ করতে পারবে না।
- সাপ দেখলেই আপনার প্রধান কাজ হলো শান্ত থাকা। নড়াচড়া করা যাবে না। বরং সাপ দেখে আতঙ্কিত না হয়ে কিভাবে সাপ থেকে রক্ষা পাবেন সেটা ভাবুন। আপনি যদি সাপ থেকে বেশ দূরে অবস্থান করেন তাহলে সুবিধা দেখে আস্তে আস্তে ওখানে থেকে সরে যেতে পারেন।
- যদি কারো বাড়িতে সাপ ঢুকে পড়ে বা আশ্রয় নেয় তাহলে তার উচিত হবে সাপের বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া। এর জন্য উদ্ধারকারীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আগে থেকে নম্বর রাখতে হবে। যদি নম্বর না থাকে তাহলে জরুরী ভিত্তিতে পুলিশ থানায় কল করুন। তারা ব্যবস্থা নিবে।
- যদি সাপটি আক্রমণাত্বক বা বিপদজনক না হয় তাহলে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করবেন না। সরাসরি লাঠি দিয়ে আঘাত করবেন না অথবা তাকে বিরক্ত করার চেষ্টা করবেন না। এতে আপনিই বিপদে পড়তে পারেন।
- বাগানে বা ঝোপঝাড়ে কাজ করার সময় সঠিক পোশাক পরিধান করুন এবং হাতে গ্লোভ্স, পায়ে উদ্ধারকর্মীদের মত জুতা পড়ুন। যাতে সাপ কামড়াতে না পারে।
- বাড়ির আশপাশ ও কাঠের স্তূপের মতো ধ্বংসাবশেষ দ্রুত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করুন। এসব স্থানে সাপ লুকিয়ে থাকতে বেশি পছন্দ করে। স্যাঁতস্যাঁতে স্থানগুলো পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন।
- সাপ কামড়ালে আতঙ্কিত হবেন না, শান্ত থাকার চেষ্টা করবেন। যত বেশি খাবাড়াবেন, দ্রুত শ্বাস নিবেন তত দ্রুত বিষ রক্তে প্রবাহিত হতে থাকবে। ফলে আপনার বিপদ বেশি বেড়ে যেতে পারে। আতঙ্কিত না হয়ে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে চলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
বাড়ি থেকে সাপের উপদ্রব কমানোর উপায়
গরমকালে, বিশেষ করে বর্ষা এলেই চারদিকে সাপের উৎপাত ক্রমশ বাড়তে থাকে। যদিও শহরাঞ্চলের থেকে গ্রামাঞ্চলে সাপ বেশি দেখা যায়। সাপ সাধারণত ঘর, রান্নাঘর, বাগান, আনাচে কানাচে, ধ্বংসাবশেষ স্তুপে সাপের উৎপাত বাড়তে থাকে। যে কারণে ভয় আতঙ্ক তৈরি হয় গ্রামের লোকেদের মধ্যে। সবসময় যে বাড়িতে কার্বলিক এসিড থাকে তা কিন্তু নয়। যদি আপনার বাড়িতে কার্বলিক এসিড না থাকে তাহলে কোন উপায়ে দ্রুত সাপ তাড়াবেন, চলুন জেনে নিই সাপের উপদ্রব কমানোর উপায়-
লাল রঙের সাবান
যদি আপনার হাতের কাছে কার্বলিক এসিড না থাকে তাহলে আপনি লাল রঙের সাবান ব্যবহার করতে পারেন। কারণ লাল সাবানে কার্বনিল থাকে। আপনি এই সাবান টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়ে সেগুলোকে ঘরের চারপাশে ছড়িয়ে দিন। তাহলে দেখবেন কাজ হবে সাপ ঘরে প্রবেশ করবে না।
রসুন ও সরিষার তেল
কার্বলিক এসিড ছাড়াও আপনি রসুন ও সরিষার তেল দিয়ে খুব সহজেই বাড়ি থেকে সাপ তাড়াতে পারেন। রসুন বেটে তাতে সরিষার তেল মিশিয়ে সেটা বাড়ির যেকোনো কোণে বা বাড়ির আশেপাশে ছড়িয়ে দিন। এর গন্ধে সাপ ধারের কাছে আসবে না। ফলে ঘরে সাপ ঢুকা থেকে মুক্তি পাবেন।
ব্লিচিং পাউডার
ব্লিচিং পাউডার বাড়িতে অথবা বাড়ির আশেপাশে ছিটিয়ে রাখলে সাপ, পোকামাকড় একদমই বাড়িতে প্রবেশ করবে না। ব্লিচিং পাউডার খুব ভালো কাজ করে।
সালফারের গুড়ো
সালফারের গুঁড়ো দিয়ে খুব সহজে আপনি বাড়ি থেকে বিষধর সাপের উপদ্রব কমাতে পারবেন। বাড়িতে যেসব জায়গায় সাপের আনাগোনা রয়েছে সেই জায়গা গুলোতে সালফারের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন। কারণ সালফারের গুঁড়ো সাপের গায়ে লাগলে জ্বালা হয়। ফলের সাপ একবার সেখানে এলে দ্বিতীয়বার আর আসার চেষ্টা করবে না।
মসলা গুঁড়ো
সাপ এড়াতে আপনি মসলাগুলো ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- গোলমরিচ, লঙ্কার গুঁড়ো, লেবুর রস, মিশিয়ে আপনি আপনার বাড়ির চার পাশে রেখে দিন। সেই সঙ্গে আপনি পেঁয়াজ বেটেও দিতে পারেন। তাহলে আপনার বাড়ির চারপাশে কখনোই আর সাপ আসবে না।
ন্যাপথলিন এর গুঁড়ো
ন্যাপথালিনকে গুঁড়ো করে বাড়ি চারপাশে ছিটিয়ে রাখতে পারেন। ন্যাপথালিনের ঝাঁঝালো গন্ধ সাপ সহ্য করতে পারে না। এর ফলে সে বাড়িতে সাপ প্রবেশ করবে না।
ভিনেগার ব্যবহার করে
বিষধর সাপ কিন্তু ভিনেগারের ঝাঁঝালো গন্ধ একেবারে সহ্য করতে পারে না। তাই বাড়ির চারপাশে যদি ভিনেগার ছিটিয়ে রাখেন তাহলে সাপ ভুলেও আপনার বাড়ির ভিতরে ঢুকবে না।
সাপ তাড়াতে কার্বলিক এসিডের ব্যবহার
সাপ তাড়ানোর জন্য আমরা সাধারণত কার্বলিক এসিড ব্যবহার করে থাকি। কার্বলিক এসিড সাপ তাড়ানোর মোক্ষম উপায় হিসেবে ধরা হয়। অনেক আগে থেকেই এই এসিডের ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমান সময়েও এর ব্যবহার প্রচলিত রয়েছে। সাপ তাড়াতে কার্বলিক এসিড কিভাবে ব্যবহার করব তা জেনে নিই। এটি আসলে বাজার হাটে সহজ ভাবে পাওয়া যায় না। কারণ এটি একটি বিপদজনক কেমিক্যাল।
এই এসিড টি খুব সাবধানে সাথে ব্যবহার করা উচিত। এই এসিড শরীরে পড়লে চামড়া পুড়ে যাওয়ার ও ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এটি খুব সাবধানে সাথে আপনার বাড়ির আশেপাশে ছিটিয়ে দিতে পারেন অথবা কাঁচের বোতলে করে বাড়ির চারপাশে বোতলের মুখ খুলে রেখে দিন। সাপের দেহে জ্যাকবস অর্গান (Jacobs organ) নামক এক ধরনের স্মেল ডিটেকটিভ অর্গান (smell detective organ) থাকে যার সাহায্যে সাপ বাতাস থেকে গন্ধ নেয়।
কার্বলিক এসিড মিশ্রিত বাতাস যখন শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে সাপের দেহে প্রবেশ করে তখন সাপ বুঝতে পারে যে আশেপাশে পরিবেশ তার জন্য নিরাপদ বা উপযুক্ত নয়। এই কারণে সহজে তা বাতাসে মিশে যেতে পারে এর ফলে বাড়ির চারপাশে সাপের কোন আনাগোনা দেখতে পাবেন না। এসিডের ঝাঁঝালো সূক্ষ্ম গন্ধে সাপ এর ধারের কাছে আসতে পারে না। সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে এটির ব্যবহার করতে পারেন।
সাপ তাড়াতে কার্বলিক এসিড কি আসলেই কার্যকর?
সাপ তাড়াতে কার্বলিক এসিড কাজ করে কিনা এই নিয়ে দ্বিমত পোষন করছে অনেকেই। কারো মতে কার্বলিক এসিড সাপ তাড়াতে কাজ করে। আবার কারো মতে কার্বলিক এসিড সাপ তাড়াতে কোন কাজে আসে না। এটির সঠিক তথ্য আমরা একজন হার্পেটোলজিস্ট এর কাছ থেকে জেনে নিই। তিনি কি বলেন চলুন জেনে নিই -
উপমহাদেশ তো বটেই বর্তমান সময়ের হার্পেটোলজিস্ট শব্দটি আসলে যার নাম সর্বপ্রথম মনে আসে তিনি হলেন রমালাস হুইটেকার (Romulus Whiteker)। রমালাস হুইটেকার হলেন একজন জীবিত কিংবদস্তি। সাপ এবং সাপ নিয়ে তার প্রাকটিক্যাল জ্ঞান অন্য যে কারো থেকে বেশি হবে বিশেষ করে ভারত উপমহাদেশের সাপদের নিয়ে তার অসংখ্য গবেষণা রয়েছে।
এবং সাপ নিয়ে তার লিখিত বই স্নেকস অফ ইন্ডিয়া: দা ফিল্ড গাইড Snakes of India: The Field Guide কে সাপের উপর লেখা বাইবেল হিসেবে গ্রহণ করা হয়। রমালাস নিয়েই চাইলে বিশাল এক বই লিখে ফেলা যাবে। আপাতত আমরা মূল আলাপ করি। তাকে একটি প্রশ্ন করা হয় যে কার্বলিক এসিড সাপ তাড়াতে কাজ করে কিনা?
তিনি উত্তর দেন যে, প্রশ্নের ব্যাপারে সরাসরি বলতে হয় যে বাস্তবে সাপের সত্যিকারি কোন রিপেলেন্ট বা সাপকে দূরে রাখার মত কোন কেমিক্যাল এর অস্তিত্ব নেই। যদিও অসংখ্য উপাদান এ জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এবং অনেকে দাবিও করেছে যে এটা কাজ করে। অবশ্যই সাপ অথবা যে কোন প্রাণী এসিডের মত ক্ষতিকার উপাদান (কেমিক্যাল) এড়িয়ে চলতে চাইবে। এটা শুধুমাত্র তখনই সম্ভব যখন সেই প্রাণী বা সাপ সরাসরি সেই কেমিক্যালের একেবারে কাছে থাকবে।
কিন্তু এর জন্য কার্বলিক এসিডের মত দাহ্য পদার্থ সাপ দূরে রাখা রাখার জন্য সবখানে বা সারা ঘর ব্যাপী ছিটিয়ে দেওয়ার মত বিষয় হতে পারে না। ইঁদুর বা ইঁদুরের মতো প্রাণীরা ঘরে থাকার জন্য সাধারণত ঘরে আসে। কেননা অধিকাংশ সাপই মূলত এদেরকে স্বীকার করে থাকে। তাই কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহার করা থেকে সাপকে ঘরে হতে দূরে রাখার জন্য ইঁদুর মুক্ত ঘর রাখা হলো সবথেকে কার্যকর উপায়।
আমার মনে হয় না কার্বলিক এসিডের ব্যবহার নিয়ে আমাদের আর বক্তব্য বাড়ানো উচিত। কার্বলিক এসিডের ব্যবহার মূলত কলোনিয়াল ম্যাল প্র্যাকটিস যা থেকে কোন বিতর্ক ছাড়ায় আমাদের বের হয়ে আসা উচিত।
কার্বলিক এসিড কোথায় পাওয়া যায়?
আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে কার্বলিক অ্যাসিড কোথায় পাবো? কারণ এটি একটি অ্যাসিড। কিন্তু কার্বলিক অ্যাসিড বা ফেনল যে খুব দুষ্প্রাপ্য বা মারাত্মক অ্যাসিড তা কিন্তু নয়। কর্বলিক অ্যাসিড বা ফেনলের আণবিক সংকেত C6H5OH । এই অ্যাসিড নেওয়ার জন্য কোন বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন নাই। এটি আপনার আশে পাশের বড় স্টেশনারি দোকানে খোঁজ নিলে পেয়ে যাবেন।
এই অ্যাসিড এর মূল্য খুব একটা বেশি নয়। কার্বলিক অ্যাসিডের মূল্য ৬০-৭০ টাকার মধ্যেই হতে পারে। এটি অন্য অ্যাসিডের তুলনায় দুষ্প্রাপ্য বা অসহজলভ্য একেবারেই না। কারণ এটি অতটাও বিপদজনক নয়। খুব সহজে যেকোন দোকানে খোজ নিলেই পাবেন তারপরও কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহার করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করে ব্যবহার করা উচিত।
সাপ সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য
সাপ সর্ম্পকে মূলত আমাদের ধারণা খুব একটা ভাল নয়। সাত হাত-পা বিহীন লম্বা শরীরের, মাংসভোজী, ধূর্ত এক প্রকার সরীসৃপ প্রাণী। বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী প্রাণী জগতের, কর্ডাটা পর্বের, ভার্মেটিব্রাটা ( মেরুদণ্ডী ) উপপর্বের বা শ্রেণীর, রেপ্টিলিয়া শ্রেণীর, স্কোয়ামাটা বর্গের, সার্পেন্টেস উপবর্গের সদস্যদের সাপ বলে অভিহিত করা হয়। এখনো পর্যন্ত যতদূর জানা যায় সাপের সর্বমোট ১৫ টি পরিবার, ৪৫৬ টি গণ এবং ২৯০০টিরও বেশি প্রজাতির সাপ রয়েছে।
Snake ইংরেজি শব্দটি এসেছে প্রাচীন ইংরেজি নাম থেকে। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সকল মহাদেশেই সাপের উপস্থিতি দেখা যায়, তা হতে পারে সমুদ্রের গভীরতম তলদেশে অথবা পর্বতের সুউচ্চ তুষারদেশে প্রায় ১৬ হাজার ফিট উপরে হিমালয় পর্বতমালাতেও। আবার আশ্চর্য ব্যাপার এমন কিছু দ্বীপপুঞ্জ আছে যেখানে সাপের দেখা পাওয়া যায় না। যেমন আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড। তবে নিউজিল্যান্ডের জলে পেটের কাছে হলুদ রঙ এর সামুদ্রিক সাপ আর ডোরাকাটা সামুদ্রিক ক্রেইটের দেখা পাওয়া যায়।
সাপ সাধারণত খুব ছোট ১০ সে. মি. থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ ফুট বা ৭.৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত টাইটানোবোয়া সাপের জীবাশ্ম প্রায় ৪০ ফুট বা ১৩ মিটার লম্বা। সাপ বিষধর হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও বেশিরভাগ প্রজাতির সাপ বিষবিহীন হয়। যেসব সাপ বিষধর সেসব সাপগুলো আত্মরক্ষার চেয়ে স্বীকার করার সময় বিভিন্ন প্রাণীকে ঘায়েল করতেই বিষের ব্যবহার বেশি করে থাকে। বেশ কিছু সাপের বিষ মানুষের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি বা মৃত্যু ঘটায়। অনেক সময় সাপের বিষ মানুষের উপকার আসে, যা বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় থাকে।
সাপ একটি নিরীহ প্রাণী। সাপ কানে শুনতে পাই না কারন সাপের কান নাই। তাই তারা জিব্হার সাহায্যে শ্রবণ করে থাকে। এই কারণেই সাপকে ঘন ঘন জিব্হা বের করতে দেখা যায়। সাপের দৃষ্টিশক্তিও অত্যন্ত দুর্বল। এছাড়া সাপের পেটের তলায় আঁশে এক ধরনের স্নায়ুতন্ত্র থাকে। এই আঁশের সাহায্যে মাটি থেকে উচ্চমাত্রার কম্পনযুক্ত শব্দ গ্রহণ করে মস্তিষ্কে চালনা করে দেয়, এভাবে সাপ কোন বস্তুর অবস্থান কত দূরে তা নির্ণয় করতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে সাপ মানুষ শিকার করে না এবং সাপকে কোন কারনে উত্তেজিত করা না হলে বা সাপ আঘাতগ্রস্থ না হলে তারা মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা চেষ্টা করে। সাপের খাদ্য তালিকায় রয়েছে ইঁদুর, পাখি, ব্যাঙ, বড় সাপ, ছোট হরিণ, শুকর, বাঁদর, ডিম ইত্যাদি। ৭০ শতাংশ প্রজাতির সাপ ডিম পাড়ে। সব থেকে বড় সাপ গ্রীন অ্যানাকন্ডা গড়ে ১৭ ফুট লম্বা হয় এবং সবচেয়ে ছোট সাপ বার্বাডোস যা মাত্র ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়।
সাপে কামড়ালে করনীয় বা প্রাথমিক চিকিৎসা
সাপে কামড়ালে তা কি করণীয় বা এর প্রাথমিক চিকিৎসা কি হতে পারে সেটা আমাদের সবারই জানা আবশ্যক। সাপের কামড়ের ঘটনাগুলো সাধারণত মে থেকে অক্টোবর মাসে হয়ে থাকে। কারণ এই সময় বৃষ্টির পানি চারদিক ভরে যাওয়ায় সাপ তাদের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে এবং শুকনো জায়গার জন্য বাসা বাড়ি, দেওয়ালের ফুটা, পরিত্যক্ত ধ্বংসাবশেষ স্তূপ ইত্যাদি স্থানে আশ্রয় নেয়। এই সময় মানুষের সংস্পর্শে এলে তারা ভীত হলে বা মানুষের দ্বারা আঘাত পেলে তখন কামড়ানোর চেষ্টা করে। সাপে কামড়ালে প্রাথমিক ভাবে কি চিকিৎসা করা প্রয়োজন টা যে নিই-
- সাপে কামড়ানো আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভীত হতে দেওয়া যাবে না। তাকে আশ্বস্ত করতে হবে। বেশিরভাগ সাপে কবলিত মনে করেন মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। তাই জরুরী ভিত্তিতে তাকে সাহস দেওয়া এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যথাযথ স্থানে বা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠালে রোগী আত্মবিশ্বাস ও মনোবল ফিরে পাবে।
- দংশিত স্থানে কোন ভাবেই কাটাছেঁড়া করা যাবে না। কেবল কামড়ানো স্থানে ভেজা কাপড় দিয়ে কিংবা জীবাণুনাশক লিকুইড দিয়ে মুছে দেওয়া।
- কামড়ানো স্থান থেকে একটু দূরে গামছা, কাপড় বা রশ্মি দিয়ে একটি মাত্র গিট দিয়ে বেঁধে দিতে পারেন ( যদি পায়ে কামড়ায় তাহলে তার উপরের অংশে বা রানে আর যদি হাতে কামড়ায় তাহলে কামড়ানোর স্থান থেকে উপরে বা কনুইতে গিট বাঁধতে হবে)। গিট এমনভাবে দিতে হবে যাতে খুব টাইট না হয় আবার খুব বেশি ঢিলাও না হয়।
- দংশিত স্থানটি যত সম্ভব নড়াচড়া করানো যাবে না। বেশি নড়াচড়া করলে বিষ রক্তে প্রবাহিত হয়ে মস্তিষ্ক পর্যন্ত দ্রুত পৌঁছে যেতে পারে। ফলে মৃত্যু ঘটতে পারে।
- সাপে কাটা ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে পাঠাতে হবে। স্থানান্তরের সময় আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাঁটতে দেওয়া যাবে না। রোগীকে কাঁধে বা কোলে, খাটিয়া বা দোলনায় অথবা গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
- যদি সম্ভব হয় তাহলে সাপের প্রজাতি ও বিষধর কিনা তা উদাহরণ হিসেবে সাথে নিতে পারেন। সাপ পরিবহনে খেয়াল রাখতে হবে সাপটি মৃত নাকি মরে যাওয়ার ভান করে আছে সেদিকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
- জরুরী কোন উপসর্গ না থাকলে বিষদাঁতের চিহ্ন পরীক্ষার জন্য কামড়ানো স্থান পরীক্ষা করতে হবে। বিষদাঁতের দাগ আধা ইঞ্চি ফাঁকে দুটি খোঁজা দেওয়ার চিহ্ন হিসেবে অথবা কেবল আঁচড়ের দাগ হিসেবে দেখা যেতে পারে। দুটো বিষ দাঁতের চিহ্ন পরিষ্কারভাবে থাকলে খুব সম্ভবত সাপটি বিষধর। তবুও বিষ দাঁতের চিহ্ন না থাকলে যে সাপটি বিষধর নয় তা বলা যাবে না।
- কামড়ানোর স্থানে চামড়ার রঙের পরিবর্তন হয়ে কালচে হওয়া, ফুকে যাওয়া, ফোসকা পড়া, পচন ধরা ইত্যাদি হতে পারে। আবার কোন পরিবর্তন নাও হতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসার ফলেও স্থানটি পরিবর্তন হতে পারে।
- দূর্ভাগ্যবশত সাপ কামড় দিয়ে থাকলে শান্ত হয়ে যত দ্রুত সম্ভব কারো সাহায্য নেওয়া। সর্প দংশনে আক্রান্ত ব্যক্তি কোন ভাবেই দৌড়ানোর চেষ্টা করবেন না এতে বিষ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
- এবং সব থেকে গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় হলো যত দ্রুত সম্ভব নিকটবর্তী কোন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। যাতে ব্যক্তি দ্রুত চিকিৎসা পেতে পারে।
সাপে কাটার লক্ষণ গুলো কি কি
সাপে কাটলেই যে বিষক্রিয়া হবে এমন ভাবার কোন কারণ নেই। কারণ এমন কিছু সাপ আছে যাদের বিষই নেয়।সাপে কামড়ানো চিকিৎসার ক্ষেত্রে কি সাপে কামড়াইছে সেটা জানা থাকলে চিকিৎসার জন্য সুবিধা হয়। কয়েকটি লক্ষণ দেখলে বুঝতে পারবেন সাপে কাটার ব্যক্তির বিষক্রিয়া হয়েছে কি না। বিষধর সাপের দংশনে এইসব লক্ষণ গুলি দেখতে পাবেন-
বিষধর সাপ দংশনের লক্ষণগুলো হচ্ছে বমি, মাথাঘোরা, কামড়ানোর স্থানে ফোলা, রক্তচাপ কমে যাওয়া, চোখে ডাবল দেখা, ঘাড়ের মাংসপেশী অবশ হয়ে ঘাড় পেছনের দিকে হেলে পড়া, শ্বাস প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা, কাটা স্থানে প্রচণ্ড জ্বালা যন্ত্রণা করা, রোগীর গলা দিয়ে ঢোক গিলতে না পারা, গলা বন্ধ হয়ে আসা। এমন হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। হাসপাতালে নেয়ার আগে আক্রান্ত জায়গা নাড়াচাড়া করা যাবে না। হাত বা পায়ে কামড় দিলে হাতের পেছনের দিকে কাঠ বা বাঁশের চটা বা শক্ত জাতীয় কিছু জিনিস রেখে শাড়ির পাড় বা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে স্প্লিন্ট তৈরি করে বেঁধে দিতে হবে।
আক্রান্ত জায়গা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হবে। লক্ষ রাখবেন বেশি টাইট করে বাঁধা যাবে না। বাঁধলে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়ে গ্যাংগ্রিন হতে পারে। বিষ শিরা দিয়ে নয়, লসিকাগ্রন্থি দিয়ে শরীরে ছড়ায়। সাপে কাটা রোগীকে ওঝা-বৈদ্য বা কবিরাজ না দেখিয়ে বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান। আক্রান্ত জায়গায় কাঁচা ডিম, চুন, গোবর কিছুই লাগাবেন না। এতে সেল্যুলাইটিস বা ইনফেকশন হয়ে রোগীর জীবনহানি ঘটতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ছাড়পোকা থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিই
রাসেল ভাইপার থেকে বাঁচার উপায়
রাসেল ভাইপার একটি বিষাক্ত সাপ। এই সাপটিকে আমরা চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও জানি। এই সাপটি সাঁতার কাটায় দক্ষ হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে গিয়ে তাদের বিস্তার ঘটিয়ে থাকে। তাই সবাই সাবধানতা অবলম্বন করে চলাফেরা করার আহ্বান জানাচ্ছি। মানুষের সঙ্গে এর মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। এই সাপ সাধারণত নিচুভূমির ঘাস, ঝোপ জঙ্গলে, বনে, কৃষি এলাকায় বাস করে এবং মানুষের বসত এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে, আশ্রয় না পেলে তখন বাড়িতে দেখা যেতে পারে।
- যেসব জায়গায় রাসেল ভাইপার দেখা গিয়াছে সে সব জায়গায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- লম্বা ঘাস, ঝোপ ঝাড়, বন, কৃষি জমিতে চলাচলে সতর্ক থাকেন।
- কোন গর্তে হাত পা ঢুকাবেন না। সেখানে সাপও থাকতে পারে।
- এই সাপ সাধারণত মেটে রঙের হওয়ায় খুব সহজে দেখা যায় না। সংশ্লিষ্ট এলাকায় কাজ করার সময় হাতে গ্লাভস, পায়ে লম্বা জুতো পড়ুন।
- বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও আবর্জনা মুক্ত রাখুন।
- রাতে চলাফেরার সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুন।
- পড়ে থাকা গাছ, জ্বালানি কাঠ, খড় কুটো সরানোর সময় সতর্কতার সাথে কাজ করুন।
- সাপ দেখলে ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না। যদি সাপ থেকে যথেষ্ট পরিমাণ দূরে থাকেন তাহলে সুবিধা দেখে ওখান থেকে সরে পড়ুন।
- বিশেষ প্রয়োজন হলে জাতীয় জরুরী নম্বর ৩৩৩ তে কল করুন অথবা উদ্ধারকর্মীদের অবহিত করুন।
রাসেল ভাইপার কামড় দিলে করনীয় কি সেটাও জেনে নিই-
- যেখানে কামড় খেয়েছেন শরীরের সেই জায়গাটি নড়া করা যাবে না। এইসব পায়ে দংশন করলে বসে যেতে হবে, হাটা যাবে না। হাতে কামড় দিলে হাত নড়াচড়া করা যাবে না। হাতে পায়ের গিরা নড়াচড়ায় মাংসপেশী সংকোচনের ফলে দ্রুত রক্তের সাথে মিশে শরীরে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।
- আক্রান্ত স্থান সাবান বা জীবনুনাশক লিকুইড দিয়ে ধুতে হবে অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছতে হবে।
- শরীরে যদি অলংকার, ঘড়ি, তাবিজ বা তাগা ইত্যাদি থাকে তাহলে সেগুলো খুলে ফেলুন।
- আক্রান্ত স্থানে কাটাছেঁড়া করবেন না, সুঁই ফোটাবেন না অথবা কোন কিছুর প্রলেপ লাগাবেন না কিংবা সেখানে অন্য কিছু প্রয়োগ করবেন না।
- সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যান।
- রাসেল ভাইপার কামড় দিলে ঘাবড়াবেন না বা আতঙ্কিত হবেন না। শান্ত থাকার চেষ্টা করবেন। রাসেল ভাইপারের বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম এখন নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে বা স্বাস্থ্যসেবায় বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।
রাসেল ভাইপারের উপদ্রব কমাতে করণীয়
সাপ একটি মাংশভোজী প্রাণী। সাপ সাধারণত মানুষের সংস্পর্শে আসে না। বর্ষার পানির কারণে তারা আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়। রাসেল ভাইপার এর উপদ্রব থেকে বাঁচার জন্য নিজের বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। বড় ঘাস, ঝোপ ঝাড়, পচা কাঠ, বাড়ির ধ্বংসাবশেষ স্তূপ ইত্যাদি পরিষ্কার করুন। বাড়ির চারপাশে কার্বলিক এসিড ছড়িয়ে রাখতে পারেন। এতে সাপ বাড়ির আশে পাশেও ঘেঁষে না।
বেজি, গুইসাপ, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বনবিড়াল, মেছো বিড়াল, তিলানাগ ঈগল, সারস, মদন টাক এবং কিছু প্রজাতির সাপ রাসেল ভাইপার খেয়ে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ রাখে। মানুষের নির্বিচারে এ সকল প্রাণীর হত্যার কারনে প্রকৃতিতে রাসেল ভাইপার বেড়ে যাচ্ছে। তাই এইসব বন্য প্রাণীদের দেখলেই অকারণে তাদের হত্যা এবং তাদের আবাসস্থল ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকুন। সব কিছুর জন্য পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে।
আমাদের স্মরণ রাখা প্রয়োজন রাসেল ভাইপার বন্যপ্রাণী। সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ৬(১) ধারা অনুযায়ী সংরক্ষিত প্রাণী। রাসেল ভাইপার ইঁদুর খেয়ে যেমন ফসল রক্ষা করে, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সাপের বিষ থেকে অনেক জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি হয়। তাই সাপ মারা এক ধরনের দণ্ডনীয় অপরাধ, মারা হতে বিরত থাকুন।
পরিশেষে
আজকে আমরা জানলাম সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচার উপায় এবং ঘর থেকে সাপ তাড়ানোর উপায় সমূহ। আপনি যদি এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। সাপ একটু শান্ত সরীসৃপ প্রাণী। সাধারণত সাপ নিজে থেকে আক্রমণ করে না যদি না তাদের কোন ক্ষতি হয়ে থাকে মানুষের দ্বারা।
সাপ এমনিতেই মানুষের উপস্থিতি পেয়ে দূরে সরে যায়। তবুও আমাদের উচিত সব সময় সতর্কতার সাথে কাজ করা। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি উপকৃত হোন তাহলে এই পোস্ট টি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবার পরিজন অথবা বন্ধু বান্ধবদের অবহিত করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url